[নিম্নলিখিত দশটি সংগঠনের পক্ষে এই ঘোষনাটি প্রকাশ করা হল] আমরা, বাংলাদেশের নাগরিক ও এক্টিভিস্টগণ, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে বাংলাদেশ বর্তমানে এক অভূতপূর্ব ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কথিত কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে একটি পরিকল্পিত “Color Revolution” সংঘটিত হয় - যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার চেতনায় গঠিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন।  আমরা চরম বিস্ময় ও দুঃখের সাথে দেখছি, ২০২৪ এর আগস্ট মাস থেকে দেশ এক আত্মবিধ্বংসী পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হয়েছে। তরুণদের ইতিহাসবিমুখ একটি অংশ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধী ও দেশবিরোধী শক্তি এবং উগ্র মতাদর্শের অনুসারীরা একত্র হয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চেতনাকে আঘাত করেছে। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাসভবন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ও ভাস্কর্যের ওপর হামলা চালিয়ে থেমে থাকেনি, বরং নিরবচ্ছিন্নভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের অবদান অস্বীকার ও অবমাননা করে চলেছে। এই গোষ্ঠী মুক্তিযোদ্ধা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন, বাসভবনে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, এমনকি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাশাপাশি

মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য, সংখ্যালঘু ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতির সাথে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে করা হচ্ছে হয়রানিমূলক হত্যা মামলা ও গ্রেপ্তার।   আমরা গভীর হতাশায় লক্ষ করছি, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী এসব কর্মকাণ্ডের লাগাম টেনে ধরেননি, বরং তার নেতৃত্বে মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলো সমাজের সকল ক্ষেত্রে ক্ষমতায়িত হচ্ছে।  একই ধারাবাহিকতায়, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিবর্গের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে এবং এর কর্তৃত্ব জামায়াতে ইসলামী ও এর সমর্থক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সম্প্রতি, ১৯৭১ এ রংপুরের আলবদর কমান্ডার, ১৪০০ মানুষ হত্যা ও অসংখ্য নারী ধর্ষণের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রায় রিভিউ করে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা শুধু বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের প্রতি চরম অবমাননাই নয়, বরং এটি বিশ্ব ইতিহাসেও এক নজিরবিহীন কলঙ্কময় দৃষ্টান্ত।  এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবীদের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ, ট্রাইব্যুনালের পূর্ববর্তী বিচারপতি ও প্রসিকিউশন…

তখন সব প্রতিরোধ, তখন সব প্রত্যয়, তখন সব আত্মগোপনের উদ্ভাস, তখন সব প্রেরণার তন্ত্র ভাষা পেতে থাকে। আর ওই ভাষা তখন প্রতিরোধকে, প্রত্যয়কে, উদ্ভাসকে, তন্ত্রকে মুক্তির পথে সংহত করতে থাকে।

যখন কোথাও স্থান হয় না, যখন ধরে ধরে অপদস্থ করা হয়, যখন জানতে হয় দঙ্গল আক্রান্ত হতে হবে যেকোনো সময়, আবার যখন আত্মহত্যার প্রচারে দেখা যায় পরিকল্পিত মৃত্যুর ছক, যখন সবাই জানে পরাজয়টা এমনই পরাজয় যেখান থেকে আর প্রত্যাবর্তন সম্ভব নয়, যখন অন্যায্য উপহাসের উত্তর দেয়ার জন্য সদাপ্রস্তুত জিভেও চড়া পড়ে যায়, যখন সবচেয়ে ভালবাসার সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞানকে হাত থেকে খুলে ফেলতে হয়, যখন ঐতিহাসিক জাতীয়তাবাদ চরম সংকটে পড়ে যায়, যখন প্রতিটি ভালবাসার জায়গা বিভাজনের বিষে বিষাক্ত, যখন প্রতি মুহূর্তে দমবন্ধ তিক্ত থুথু গিলতে হয়, যখন মৃত্যুর অপেক্ষা ছাড়া আর সব অপেক্ষার মৃত্যু সম্পন্ন, যখন তারপরও জীবন তার দাবি জানিয়ে যায়। তখন সব বঞ্চনার, তখন সব দারিদ্রের, তখন সব নির্যাতনের ইতিহাস ফিরে আসে। আর ওই ইতিহাস তখন আবার বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দারিদ্রের বিরুদ্ধে, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিজয়ের অনাগত ডাক দিতে থাকে। কখন স্থান ঘোষিত হতে শুরু হয় কেউ বলতে পারে না, কখন কার্যক্রমের পদসমূহের উদ্ভব হয় কেউ ঠিক ধরতে পারে না, কখন দঙ্গল ক্ষয়িষ্ণু হতে শুরু করে এটা ধরা পড়তে থাকে, কখন সব

মৃত্যুপরিকল্পনা জীবনের গান গাইতে শুরু করে তা ভাবলে আশ্চর্য হতে হয়, কখন পরাজয় শব্দটা ছোট্ট ছোট্ট পায়ে পরাভূত হতে থাকে, কখন ন্যায়ের অঙ্কুরোদগমে সব উপহাসের গলাবাজি মলিন হতে থাকে, কখন ভালবাসার উদারতা সাংস্কৃতিক জীবনগুলোকে অমোঘ অভিজ্ঞানের মতো কীর্তনময় করে তোলে, কখন ঐতিহাসিক জাতীয়তাবাদ গণচেতনায় পরম প্রত্যয় ঘোষণা করে, কখন ভালবাসার সামনে বিভাজনের সব বিষাক্ত বিষ অকার্যকর হয়ে পড়ে, কখন বৃষ্টির জলে বুকের দমবন্ধ তিক্ততা অবসিত হতে থাকে, কখন মহৎ মৃত্যুর ভাষ্য জীবনের সব অপেক্ষার অবসান ঘটায়, কখন অতঃপর জীবনের দাবি জনপদে জনপদে গভীর আগমনের মতো স্বতঃসঞ্চারিত হতে থাকে। তখন সব প্রতিরোধ, তখন সব প্রত্যয়, তখন সব আত্মগোপনের উদ্ভাস, তখন সব প্রেরণার তন্ত্র ভাষা পেতে থাকে। আর ওই ভাষা তখন প্রতিরোধকে, প্রত্যয়কে, উদ্ভাসকে, তন্ত্রকে মুক্তির পথে সংহত করতে থাকে। তাই ধ্বংসস্তূপ শুধু ধ্বংস নয়, ধ্বংসস্তূপ স্তূপও। আর স্তূপ থেকে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ একত্র হয়। আমাদের বাস্তবতার নবজন্ম হয়। নির্বাচন, নির্বাচন, নির্বাচন করে আমাদের অনির্বাচনের বোধকেই কেন আমরা ভুলে যাচ্ছি। স্তূপ দাঁড়িয়ে আছে। স্তূপ জানিয়ে দিচ্ছে আমাদের হারানোর কিছু নেই। স্তূপ…

আমরা সবাই ইতোমধ্যে জানি যে বালুচিস্থান স্বাধীণতা ঘোষণা করেছে। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে তদানীন্তন পূর্ব বাংলার বাঙ্গালীরা যেমন স্বাধীণতা ঘোষণা করেছিল পাকিস্থান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন বালুচরা মুক্তি সংগ্রামে ব্রতী? কেন বহু ভাষা-ভাষী বা নানা নৃ-গোষ্ঠি বা জাতি-সত্ত্বা সম্পন্ন রাষ্ট্রগুলোয় ’আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার’লড়াই তীব্র হয়ে উঠছে? বালুচ জনগণের স্বাধীণতা আন্দোলন কত দূর যাবে বা এমনকি স্বাধীণতা পেলেও বাংলাদেশের মতই ’নৃ-তাত্ত্বিক’ও  ’ধর্মীয় বিরোধ’ সেখানে আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে কিনা তা’ বলবে একমাত্র সময়।

 আমরা সবাই ইতোমধ্যে জানি যে বালুচিস্থান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে তদানীন্তন পূর্ব বাংলার বাঙ্গালীরা যেমন স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন বালুচরা মুক্তি সংগ্রামে ব্রতী? বিশিষ্ট বালুচ অধ্যাপক সীমা খানের মতে, ’ধর্ম’ এবং ’নৃ-তত্ত্ব’-এই দ্বিবিধ পরিচয়ের আবর্তে নিক্ষিপ্ত বালুচরা বাঙালীদের মতই ইসলাম ধর্ম ও জাতিগত আত্ম-পরিচয়ের সঙ্কটে ভুগছে। সীমা তাঁর ‘Trapped between Religion and Ethnicity: Identity Politics against the Baloch in Iran and Pakistan’ প্রবন্ধে বালুচ জাতির ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত খুঁজতে গিয়ে কীভাবে ঐতিহাসিকেরা বালুচিস্থান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোয় বালুচ ও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠির ভেতরকার সংস্কৃতি ও ভাষাগত সম্বন্ধ সূত্র বিষয়ে অনুসন্ধান করেছেন, তার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করেছেন। ১৯০৪ সালে ইতিহাসবিদ ডেমস প্রথম বালুচ ইতিহাস এবং ভাষা বিষয়ে অনুসন্ধানে ব্রতী হন। তিনি বর্তমানের ইরাণের কেরমান এলাকাকেই বালুচ জাতির সম্ভাব্য বিন্দু বলে মনে করেন (এম, আহমেদ এবং বালুচ, পৃষ্ঠা ২)। পশুচারী বা অর্দ্ধ-যাযাবর বালুচরা তাদের মূল পশুচারণ এলাকাগুলো জুড়ে নিয়মিত ভিত্তিতে যাতায়াত বা অভিবাসনের পথ খুঁজে বের করেছিল (ব্রিসিগ, ২০০৪; দাশতি, ২০১২, উইরসিং, ২০০৮)। প্রায় ৩০০০ বছর ধরে বালুচেরা ইরাণী

মালভূমির দক্ষিণ এবং পূর্বের প্রান্তগুলোয় তাদের ’চরৈবেতি’ অব্যাহত রেখেছিল। তবে বারো শতকে প্রথম পারস্য, আফগানিস্থান এবং ভারতের ভেতর দিয়ে প্রসারিত একটি চিরস্থায়ী ভূ-খন্ডে বালুচরা চিরস্থায়ী ভাবে বসতি গড়ার উদ্যোগ নেয়। কয়েক শতকের পরিসরে এবং অভিবাসন ও বসতি গাড়ার প্রক্রিয়ায়, বালুচরা নিজেদের ভেতর বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিকে আত্মীকরণ করে নেয় (ব্রিসিগ, ২০০৪; দাশতি, ২০১২, উইরসিং, ২০০৮)। তবে পাশাপাশি প্রতিটি বালুচ গোত্রই যার যার নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখেছে (ব্রিসিগ, ২০০৪, পৃষ্ঠা ২২)। আজো বালুচেরা যার যার নিজস্ব গোষ্ঠি পরিচয়ে পরিচিত হতে গর্ব বোধ করে। মূলত: পারস্য, আফগানিস্থান এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মত শক্তিশালী প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই বালুচেরা পার্শ্ববর্তী অনেক ছোট ছোট জন-গোষ্ঠিকে আত্মীকৃত করেছিল। চৌদ্দ শতকে মীর চাকার খান রিন্দ প্রথম বালুচ গোষ্ঠিগুলোর ভেতর একটি ’গোত্রীয় কনফেডারেশন’ গড়ে তোলেন যাতে করে গোটা বালুচ জাতিকে একটি শিথিল প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় এনে ঐক্যবদ্ধ করা যায় (ব্রিসিগ, পৃষ্ঠা ১৩৯)। এই কনফেডারেশন পশ্চিমে কিরমান থেকে উত্তর-পূর্বে আফগানিস্থান এবং দক্ষিণ-পূর্বে সিন্ধু ও পাঞ্জাব থেকে দক্ষিণে আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বালুচ জাতির একত্রীকরণের লক্ষ্যে চাকার খানের গৃহীত…

এই সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট শান্তিতে নোবেলধারী বাংলাদেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দেশ পরিচালনার নামে কী করছে তা এখন তার দেশের মানুষ বুঝতে পারছে ঠিকই কিন্তু সেই দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে এখন আর কিছুই করতে পারছে না।

বাংলাদেশে সুদখোর অর্থপিশাচ অনেক আছে কিন্তু সুদখোর অর্থপিশাচ অথচ নোবেলধারী একজনই আছে এবং তার চেয়েও বড় কথা এবং যে কথার চেয়ে বড় কথা আর নেই তা এই যে বাংলাদেশে নোবেলধারী সবেধন এই একজনই আছে। এখন এই নোবেলধারী সারা পৃথিবীতে এত নোবেলধারীর মধ্যেও একজনই একজনই একজনই যে তার দেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে রাস্তায় গৃহযুদ্ধ ঘটিয়ে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করেছে। তো এই সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট শান্তিতে নোবেলধারী বাংলাদেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দেশ পরিচালনার নামে কী করছে তা এখন তার দেশের মানুষ বুঝতে পারছে ঠিকই কিন্তু সেই দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে এখন আর কিছুই করতে পারছে না। এখানেই শূন্যের যাদু। এই সেই শূন্য যাকে আমরা বাংলায় গোল্লাও বলি এবং এই সেই গোল্লা যাকে ইংরেজিতে ZEROও বলে আর এই নোবেলধারীই আবার তিন গোল্লার ফেরিওয়ালা হিসেবে আমেরিকা ও ইউরোপে উদারঅনুদার প্রভুদের পোঁদে পোঁদে সারা পৃথিবী চষে বেড়িয়েছে কারণ তাদের ভয়ংকর পরিকল্পনার অংশ হয়েই একদিন যেন এই বাংলাদেশকে সে পদানত করতে পারে। আমরা যারা বাংলাদেশকে ভালবেসেছি। আমরা যারা বাংলাদেশকে প্রাণের চেয়েও প্রিয় বলেছি। আমাদের বিরুদ্ধে এই একটি

লোককে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। এই লোকটি আমাদের জীবনের আমাদের প্রাণের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধের সমস্ত বর্হিশক্তি এক হয়ে তাদের দানব হিসেবে এই লোকটাকে আমাদের সব উন্নয়নের পথ অবরুদ্ধ করার কর্মকাণ্ডে জগদ্দল পাথর করে বসিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের ভেতরের সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীলতাকে এই লোক এক করেছে। বাংলাদেশের ভেতরের সর্বমুখী উগ্রবাদকে এই লোক সতত দঙ্গলের বেশে হানাদার করে রেখেছে। আর এই ভাবে এই লোক আমাদের প্রতিটি দিন আমাদের প্রতিটি রাতকে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে পিষে মারছে। আর এই ভাবে এই তিন গোল্লার ফেরিওয়ালার টুকরিতে তার ইউরোপ আমেরিকার উদারঅনুদার প্রভুরা সেই গোল্লাটি তুলে দিয়েছে যে গোল্লাটি তুলে দেয়ার জন্যই প্রায় দুই দশক আগে তাকে শান্তিতে নোবেলধারী বানানো হয়েছিল। এই সেই চতুর্থ চতুর গোল্লা। এই সেই ইউরোপ আমেরিকার উদারঅনুদার প্রভুদের বৈশ্বিক দক্ষিণের জন্য বানানো শূন্য রাজনীতির বড়ি। বাংলাদেশকে দিয়ে এই বড়ির প্রয়োগ শুরু হল। বাংলাদেশ বুঝতে পারছে। কিন্তু কিছু করতে পারছে না। কারণ এই চতুর্থ চতুর গোল্লা সমান শূন্য রাজনীতির বাংলাদেশ।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাংবাদিক নির্যাতনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু পদ্ধতিগত পরিবর্তনই নয়, সংখ্যার বিচারেও ইউনূসের শাসনামলে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বিগত ১০ বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদের মোট ১৫ বছরের শাসনামলের মধ্যে শেষ ১০ বছরে ঘটে যাওয়া সাংবাদিক নির্যাতনের প্রাপ্ত ডাটা সাথে ইউনূসের অবৈধ সরকারের মাত্র নয় মাসের ডাটার তুলনা করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ২০১৩-২০২৪ এর জুলাই পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই)। এই সময়ে ৩১৮টি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যখন অবৈধ ইউনূস সরকার ক্ষমতা দখল করলো, তখন ২০২৪ সালের পরবর্তী পাঁচমাসে (আগস্ট-ডিসেম্বর) সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৬৭১টি—অর্থাৎ পূর্ববর্তী সাত মাসের দ্বিগুণেরও বেশি।

মিডিয়া শিক্ষা আয় তোর প্রশ্নটা শুনি, আয় দেখি গলা টিপে ধরে, দেখি কত বাকস্বাধীনতা আছে তোর মিডিয়ার ঘরে। কত দিকে ন্যারেটিভ পাল্টে, কত কথা দিয়েছি যে চাপা, মিডিয়ার যা তা করা প্রশ্নে, সবকিছু বের হচ্ছে ফাঁপা। মন তোর কোন দেশে থাকে রে, কেন তুই ভুলে যাস কথা— দেখিস না আর সব মিডিয়া, লিটনের ফ্ল্যাটে যায় একা। টোল খাওয়া ছাতাপড়া মাথাটা, টুপি দিয়ে ঢেকে রাখি বিলকুল, সংবাদ প্রকাশের দায়েতে, জেলখানা সব আজ হাউসফুল। কাৎ হয়ে কান ধরে দাঁড়া, দীপ্ত কী এটিএন চ্যানেল আই জুলাইয়ের ঝোল খেয়ে ঝুলে যা, আমি আর ফ্যাসিজম ভাই ভাই। মিডিয়াকে বাঁশ দেওয়া সেরে, নোবেলের গোলাখানি চুষিয়ে, মানবিক করিডোরে গান গাই, প্রেসক্লাব দেখে দাঁত কেলিয়ে। (সুকুমার রায়ের বিজ্ঞান শিক্ষা ছড়া অবলম্বনে) https://www.youtube.com/watch?v=T620MV7VM0g “জান ও জবানের স্বাধীনতা” এনে “দায় ও দরদের রাজনীতি” প্রতিষ্ঠার ছবক দেওয়া ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন মিডিয়ার সামান্য দুয়েকটি সহজ-সরল প্রশ্নও সহ্য করতে পারছে না। গত নয় মাসে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কর্তৃত্ববাদের চূড়ান্ত নজির আমরা দেখেছি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জেল-জুলুম আর মিথ্যা মামলা তো আছেই, সেই

সাথে চলেছে একের পর এক গণমাধ্যমগুলোর মালিকানা দখলের মহড়া। সরকারের সৃষ্ট মব দিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে নিজেদের লোক নিয়োগ, ইচ্ছেমতো সাংবাদিক ছাটাই, দেশের সার্বিক দুঃসহ পরিস্থিতি চাপা দিতে নির্লজ্জ মিডিয়া-সেন্সর এবং সবশেষে গত ২৮ এপ্রিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে শুধুমাত্র প্রশ্ন করার অপরাধে দীপ্ত টেলিভিশন, এটিএন বাংলা ও চ্যানেল আই—তিনটি বেসরকারি চ্যানেলের সাংবাদিককে ২৯ এপ্রিল জোরপূর্বক চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে1। শুধু তাই নয়, ইউনূস সরকারের চাপে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভি তাদের সংবাদ কার্যক্রমও স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ2। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সারাদেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশের একটি প্রাত্যহিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। একে তো ড. ইউনূস ক্ষমতা দখলের পরই দেশের গণমাধ্যমগুলোতে নেমে এসেছে শকুনের নীরবতা। সারাদেশে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবির ও তাদের দোসরদের এবং সমন্বয়ক সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের নির্বিচার সন্ত্রাসের কোনো সংবাদই আমরা দেশের গণমাধ্যমে দেখতে পাই না। এমনকি দেশজুড়ে ৫ আগস্টের পর থেকে নারীর বিরুদ্ধে যে ভয়ানক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, সে সম্পর্কেও গণমাধ্যমগুলোতে কোনো সংবাদ বা ফলো-আপ নিউজ নেই। ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ নিজেই এখন অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু হয়ে গেছে। সমন্বয়ক…

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.