সুপারিশকৃত লিন্ক: সেপ্টেম্বর ২০০৯

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা [...]

মুক্তাঙ্গন-এ উপরোক্ত শিরোনামের নিয়মিত এই সিরিজটিতে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিংকের তালিকা। কী ধরণের বিষয়বস্তুর উপর লিংক সুপারিশ করা যাবে তার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম, মানদণ্ড বা সময়কাল নেই। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই তাঁরা মন্তব্য আকারে উল্লেখ করতে পারেন এখানে।
ধন্যবাদ।

আজকের লিন্ক

এখানে থাকছে দেশী বিদেশী পত্রপত্রিকা, ব্লগ ও গবেষণাপত্র থেকে পাঠক সুপারিশকৃত ওয়েবলিন্কের তালিকা। পুরো ইন্টারনেট থেকে যা কিছু গুরত্বপূর্ণ, জরুরি, মজার বা আগ্রহোদ্দীপক মনে করবেন পাঠকরা, তা-ই সুপারিশ করুন এখানে। ধন্যবাদ।

৩১ comments

  1. মাসুদ করিম - ২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ)

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সত্তর বছর হল এবার পহেলা সেপ্টেম্বরে। বিশ্বজুড়ে এ দিনটি পালিত হয় ‘যুদ্ধবিরোধী দিবস’ হিসেবে। কিছু পূর্ব ইউরোপীয় দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে সোভিয়েত রাশিয়াকেও নাৎসি বাহিনীর পাশাপাশি দায়ী করতে চাইছে। কারণ ১৯৩৯ সালের ২৩ আগস্টের জার্মানি-সোভিয়েত অনাক্রমণ চুক্তি। আজ সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই, রাশিয়ান ফেডারেশন কতটুকু পারবে এই অভিযোগ খন্ডাতে?

  2. মাসুদ করিম - ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১১:০০ পূর্বাহ্ণ)

    বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যার হাতে ন্যাস্ত সেই সাহারা খাতুনের এখনই সাবধান হওয়া উচিত। গতকাল তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সাহারা খাতুনের মনে রাখা উচিত ২০০১-২০০৬ এ সবেচেয়ে বেশি পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছিলেন তিনি, কাজেই তার উচিত পুলিশকে এখনই সতর্ক করা শান্তিপূর্ণ কোনো সমাবেশ বা মিছিলে যেন তারা কোনোভাবেই লাঠিচার্জ না করে। আমরা সবাই জানি তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি কখনো কোনো মিছিল বা সমাবেশে অশান্তি সৃষ্টিকারী কিছু করেনি এবং কখনো কোনো সমাবেশে উগ্র কোনো পন্থা অবলম্বন করেনি। আগামী শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর, ১৩ রমজান, বায়তুল মোকাররম মসিজদ থেকে হিযবুত তাহরীর-এর নেতৃত্বে ‘বদর দিবসের বিজয় মিছিল’ বের হবে, আমরা চোখ রাখলাম, আমরা খেয়াল রাখব সেদিন পুলিশ কি করে।

    • মাসুদ করিম - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৮:৩০ পূর্বাহ্ণ)

      গতকাল হিযবুত তাহরীরের বদর দিবসের র‌্যালিতে দেখা যাচ্ছে সাত পুলিশ আহত হয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হিযবুত তাহরীরের ত্রিশ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ(কাউকে আহত করতে পারেনি)। তাহলে সেদিন তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠিপেটা করতে হয়েছিল কেন? মিছিলকারীদের কাছে লাঠি ছিল না বলে? আর গতকাল তো দেখা গেল ৭ পুলিশ মার খেয়েছে পুলিশ কাউকে মারতে পারেনি; আমরাও চাই না আমাদের পুলিশ কাউকে মারুক–কিন্তু আমরা তো দেখলাম শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ মারবে, আর সংঘর্ষে লিপ্ত মিছিলের কাছ থেকে পুলিশ মার খাবে–এই এখন আমাদের পুলিশের ক্ষমতা!

  3. রায়হান রশিদ - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৬:৪৬ অপরাহ্ণ)

    জামায়াতে ইসলামীর আধিপত্য, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং সেখানকার বাংলা টিভি চ্যানেলগুলোর হালচাল নিয়ে সচলায়তনের একটি পোস্ট

  4. মাসুদ করিম - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:০৭ অপরাহ্ণ)

    আজকে ‘আজাদী’র ৫০তম জন্মদিন। একটি আঞ্চলিক পত্রিকার সুবর্ণ জয়ন্তী সত্যিই এক অনন্য ঘটনা। আর আজাদী আরো একটি কারণে অনন্য : স্বাধীন বাংলাদেশে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ ঘোষনা করেছিল শুধু আজাদী। চট্টগ্রামের লাখো পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত আজাদী চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করছে।

  5. রেজাউল করিম সুমন - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:১৫ অপরাহ্ণ)

    পল্টনে পুলিশি হামলায় আহত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শহীদুল আলম। দেখুন, পড়ুন।

    • মাসুদ করিম - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১১:৪৮ অপরাহ্ণ)

      আনু মুহাম্মদ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পেট্রোবাংলা এখন বহুজাতিক কোম্পানির আস্তানায় পরিণত হয়েছে–এটা এখন আর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান না। হ্যাঁ, আমাদের মনে পড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা, কেমন প্রকাশ্য অবস্থান বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতর বিশ্ব ব্যাংকের, বিভিন্ন কৌশলপত্রের সুযোগে, আজ যিনি মারা গেছেন দুঃখজনক সড়ক দুর্ঘটনায় সেই সইফুর রহমান ছিলেন এর প্রধান কুশীলব, আর এখন ডেসপারেট আওয়ামী সরকার পেট্রোবাংলাকে নিয়ে যেতে চাইছেন সেখানে, বাংলাদেশ ব্যাংক গেছে যেখানে। আনু মুহাম্মদ ১৯৯৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক প্রধানের বাংলাদেশ আগমনের প্রাক্কালে একটি ছড়া লিখেছিলেন।

      বিব্যা’*-য় কইছে…**র ভাই
      আনন্দের আর সীমা নাই
      তেনার নামে দিলাম ঝাঁপ
      তেনাই মোদের আরেক বাপ।।

      তিনি আছেন দেশ জুড়িয়া
      তিনি আছেন বুক ভরিয়া
      তিনি আছেন সর্ব অঙ্গে
      তিনি আছেন কর্ম রঙ্গে।।

      […]
      স্যাপ*** আছে প্যাপ**** আছে আছে মোদের ফ্যাপ*****।
      তর্ক আছে দ্বন্দ্ব আছে নাই কোন গ্যাপ।।
      উৎপাদন সব প্রাচীন ব্যাপার পুরনো সব কথা।
      উৎপাদনের ভূত থেকে মুক্ত করো মাথা।।

      শিল্পায়নের জন্য মোরা কলকারখানা ভাঙ্গি।
      কৃষি উন্নয়নের লাগি বিষের বস্তা ঢালি।।
      এবার থেকে করবো মোরা সবই আমদানী।
      অন্যদিকে বাড়াবো মোরা শস্তা রফতানী।।
      কারখানা ভেঙে যাক ভাঙুক মানবশ্রম
      সুপার মার্কেট দিয়ে মোরা ভরবো এই জীবন।।

      বিব্যা বাবা বইলা দিছে দুর্নীতি খারাপ
      আমরা সবাই শুইনা বলি মিলছে খাপে খাপ।।
      বিশ্বজোড়া যত টাউট, খুনী আর বাটপার
      সবার সাথে জুইড়া আছে হস্ত এই বাবার।।

      দুর্নীতির সাথে মোদের নিত্য সহবাস।
      নোংরা শরীর ঢাকতে বলি সুশীল সমাজ।।
      বিশ্বব্যাংক হাইস্যা বলে সাবাশ সাবাশ।।

      * বিশ্বব্যাংক।
      ** মুদ্রণযোগ্য নয়।
      *** স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম।
      **** পভার্টি এলিভিয়েশন প্রোগ্রাম।
      ***** ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান।

  6. মাসুদ করিম - ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:৫২ অপরাহ্ণ)

    ভিক্টর করগুন, রাশিয়ান একাডেমি অফ সাইন্সেজ-এর ইন্সটিটিউট অফ অরিয়েন্টাল স্টাডিজ-এর আফগানিস্তান স্টাডিজের প্রধান, বলছেন কারজাই ‘পাপেট’ নয় আমেরিকা ও ন্যাটো দ্বারা প্রভাবিত, এবং তার প্রতি আমেরিকা ও পৃথিবীর সমর্থন আছে। তিনি আরো বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কেন্দ্র ‘পাকিস্তান’, আফগানিস্তান নয়–কারণ মোল্লা ওমরের হেড কোয়ার্টার পাকিস্তানে, আফগানিস্তানে নয়, আর আফগানিস্তানে যা হচ্ছে তা যুদ্ধ, লাখ লাখ মানুষ যুদ্ধপরিস্থিতির ভেতর আছে, কিন্তু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের টাকা পাচ্ছে পাকিস্তান। দারি এবং পশতু আমেরিকানরা সবে শিখতে শুরু করেছে আর করগুনরা দারি ও পশতুতে অনেকদিন থেকেই পারদর্শী, তাই করগুনের আহ্বান, আমেরিকা চাইলে আফগানিস্তানের ব্যাপারে রাশিয়ার সাহায্য নিতে পারে! সাড়ে এগার মিনিটের নির্ভরযোগ্য সাক্ষাৎকার। দেখুন এখানে

  7. মাসুদ করিম - ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:৩১ অপরাহ্ণ)

    পারভেজ মুশাররফ নভেম্বরের ৩০ তারিখের পর প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসছেন। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী একজন সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে অবসরের দুই বছর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হতে পারেন না। আমাদের বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা আছে কি না আমার জানা নেই। কিন্তু ভাবছি আমাদের মঈন উ আহমেদ কী ভাবছেন? তার তো এখন অফুরন্ত সময়, সমৃদ্ধ অতীত!

  8. রেজাউল করিম সুমন - ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৮:১৬ অপরাহ্ণ)

    ফটো এজেন্সি দৃক-এর ২০ বছর!

  9. মাসুদ করিম - ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১১:৩৬ অপরাহ্ণ)

    অবকাঠামোর অভাব সত্যিই উন্নয়নের এক বড় বাধা। বিশ্ব প্রতিযোগিতার সক্ষমতার প্রতিবেদন(জিসিআর) ২০০৯-২০১০-এ প্রকাশিত বাংলাদেশের জিসিআই সূচকে অবস্থান ১০৬, যা ২০০৮-২০০৯-এ ছিল ১১১। ভারত ৪৯, শ্রীলন্কা ৭৯ ও পাকিস্তান ১০১। ভারতের কথা বাদ দিলাম, কিন্তু এতো যুদ্ধ বিগ্রহের পরও শ্রীলন্কা ও পাকিস্তান আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আমরা সত্যিই অবকাঠামোতে অনেক পিছিয়ে: বিশেষ করে আমাদের বিদ্যুৎ, সড়ক ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার অবস্থা এতোই খারাপ যে, এদিকে যদি আমরা এখনই যথাযথ দৃষ্টি না দিই, তাহলে আমরা যতটুকু এগিয়েছি তারচেয়ে বেশি পিছিয়ে পড়তে আমাদের বেশি অপেক্ষা করতে হবে না।

  10. মাসুদ করিম - ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:৪০ অপরাহ্ণ)

    মোজাম্মেল হোসেনকে লিখতে দেখছি ২০০৭ থেকে সমকালে, হয়ত এর আগেও তিনি লিখেছেন কিন্তু আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু এই গত দুবছর পৌনে তিন বছরে তিনি আমার কাছে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একজন কলাম লেখক হয়ে উঠেছেন। আজকের সমকালে তার শিক্ষানীতি নিয়ে লেখা কলামটি ‘সম্মিলিত সাধনায় অর্জনযোগ্য যে লক্ষ্য‘, এমন এক আশাবাদকে মূর্ত করল, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের শিক্ষানীতি নিয়ে আমাদের সবারই শুভবোধ জাগ্রত হওয়া উচিত যে, একটা ভালো শিক্ষানীতির দিকে সত্যিই আশা করা যায় আমরা এগিয়ে যেত পারব, আমাদের শিক্ষামন্ত্রী সত্যিই এই ‘মহাযজ্ঞ’ সম্পন্ন করতে না পারুন কিন্তু দৃঢ়তার সাথে শুরু করতে পারবেন।

  11. মাসুদ করিম - ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ)

    আশাকে উদযাপন। ৮ সেপ্টেম্বর ছিল আশা ভোঁসলের ৭৬তম জন্মদিন। ভারতের অসম্ভব জনপ্রিয় এই শিল্পী উপমহাদেশের গানের জগতের এক জীবন্ত কিংবদন্তী।

  12. মাসুদ করিম - ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:১৮ পূর্বাহ্ণ)

    অমর্ত্য সেনের নতুন বই The Idea of Justice, এখনো পড়া হয়ে ওঠেনি, আসলে হাতে এমন বেশ কিছু বই আছে, যেগুলো ফেলে এখনই এই বইটি পড়তে ইচ্ছে করছে না। তার ওপর তার বই সমসময়ে জারগন-সমৃদ্ধ কাজেই পড়তে হলে বেশ পরিশ্রমী সময়ই দিতে হয়। তবে বেশ কিছুদিন আগে তার সাক্ষাৎকার পড়েছি ‘আউটলুক ইন্ডিয়া’য়, সেসাক্ষাৎকার পড়ে, বুদ্ধ অশোক আকবর ত্রয়ী তার বিবেচনায় ইদানিং বেশ বড় জায়গা নিয়েছে বুঝতে পারি। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই তিনজনের কেউই হিন্দু নয়, তাই বিজেপি অমর্ত্যের ওপর ক্ষেপেছে। আর অর্জুন, যে কিনা অমর্ত্যের মহান ভারতীয় পৌরাণিক চরিত্র, পার্থকে তিনি বলেছেন মহান শান্তিবাদী, যিনি যুদ্ধকে ঘৃণা করেন, কিন্তু কৃষ্ণের প্ররোচনায় যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। এতেও হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষেপেছেন। আর ভারতে প্রখ্যাত ডানপন্থী সাংবাদিক আর,জগন্নাথন The Idea of Justice নিয়ে লেখতে গিয়ে লিখেছেন Arjuna, Akbar, Amartya এবং এ প্রসঙ্গে বলেছেন, অমর্ত্য এই বইয়ে মোটেই ভারতীয়দের (জগন্নাথন, হিন্দু বলতে চেয়েছিলেন কি?) সঠিক মূল্যায়ন করেননি।

  13. মাসুদ করিম - ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:২৪ অপরাহ্ণ)

    ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১, আজ স্মরণ করছে আমেরিকা। নিউইয়র্কে আজ বৃষ্টি, চারিদিকে শুধু ছাতা আর ছাতা।
    Eight years ago, hijacked passenger jets destroyed the World Trade Center. The ritual of commemorating this, the bloodiest foreign attack on United States soil, will be repeated on Friday near the pit where the Twin Towers once stood. Silence will solemnize the moments when the buildings were struck and the moments when they fell; politicians and family members of victims will offer words of grief and inspiration; and the official list of victims will be read, name by name, 2,752 in total, one more than last year.

    The day could not be more different than Sept. 11, 2001: It is rainy and gray, with whipping winds. The ceremony will begin at 8:40 a.m. and is scheduled to conclude around 12:30 p.m. City Room will live blog the ceremony: check back here for updates throughout the morning.
    আরো পড়ুন

  14. মাসুদ করিম - ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৯:০৬ পূর্বাহ্ণ)

    ইফতার নয় কাজ চাই। এম জে আকবর ভারতীয় প্রেক্ষাপট থেকে ইফতার পার্টির বিষয়ে লিখেছেন। যা লিখেছেন তার ভূগোলটা বাদ দিলে অন্যসব আমাদের সাথে মিলে যায়। পড়ুন এখানে

  15. সাবরিনা ওয়াদুদ - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৫:২৫ অপরাহ্ণ)

    সাও-পাওলোতে জোরপূর্বক উচ্ছেদের শিকার ৫০০ এর বেশি পরিবার গৃহহীন
    ২৮ আগস্ট ২০০৯

    ব্রাজিলের সাও পাওলোতে উচ্ছেদের শিকার ৫০০ এর বেশি পরিবার এখন তাদের ভেঙ্গে দেয়া বাড়ির উল্টোদিকে একটি খোলা জায়গায় প্লাস্টিকের শিটে ঘুমাচ্ছে। গত সোমবার সামরিক বাহিনী তাদেরকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে।

    অভিযোগ রয়েছে দক্ষিণ সাও-পাওলোর কাপিও রেডনডোর ওলগা বেনারিওতে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের সময় দাঙ্গা পুলিশ গত সোমবার ভোররাতে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন যে, বিপুল সংখ্যক পুলিশ যখন ‍অভিযান চালিয়েছে তখন ওখানকার বাসিন্দারা নিরস্ত্র ছিলেন।

    উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে রাজ্য কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কিংবা পুলিশ উচ্ছেদের শিকার পরিবারগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের নিস্পত্তিমূলক আলোচনা করেনি। কিংবা তাদের কোনো ধরনের বিকল্প বাসস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয়নি। তবে, পৌর কর্তৃপক্ষ ও এলাকার প্রতিনিধিবৃন্দের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে এবং এমনকি উচ্ছেদ আদেশের বিরুদ্ধে কয়েকবার আপিল শুনানিও হয়েছে। তবে এসব কিছুই ছিলো নিস্ফল।
    আরো পড়ুন:
    সাও-পাওলোতে জোরপূর্বক উচ্ছেদের শিকার ৫০০ এর বেশি পরিবার গৃহহীন

  16. মাসুদ করিম - ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১১:২৫ অপরাহ্ণ)

    ১৭ সেপ্টেম্বর সমকালের লোকালয় বিভাগে চারণ কবি রাজেন্দ্রনাথ সরকারের মৃত্যু সংবাদটি ছাপা হয়। চারণ কবি, লেটোর দল, বেঁচে আছে তাই তো জানা ছিল না।

    চারণ কবি রাজেন্দ্রনাথ সরকার আর নেই
    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
    ‘মন তটিনীর কূল ভেঙেছে বধূর প্রেমের বানে/জীবনে যা হারিয়েছি ফেরাব কেমনে’_ এমন অসংখ্য গানের রচয়িতা চারণ কবি রাজেন্দ্রনাথ সরকার আর নেই। কবির বয়স হয়েছিল ১০৫ বছর। বুধবার কোটালীপাড়া থানা স্বাস্থ্য কমপেল্গক্সে সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
    কোটালীপাড়াবাসী এবং তার ভক্তকুল এদিন বিকেলে অনুষ্ঠিত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    রাজেন্দ্রনাথ সরকার ১৯০৪ সালের ২৬ মার্চ কোটালীপাড়ার বাগান উত্তরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা অশি্বনী কুমার সরকার গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন। শৈশব থেকেই তিনি পিতার অনুপ্রেরণায় লেটো গানের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই কবি গানের দলে যোগ দেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি চারণ কবি বড়নিশি সরকার, বিজয় সরকার, নকুল দত্ত ও রসিক সরকারের সঙ্গে গানের আসরে গঠনমূলক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
    ১৯৯৩ সালে বাংলা একাডেমী কবিকে পুরস্কৃত ও সম্মানিত করে। এছাড়া ভারতের আকাশবাণী, শান্তিনিকেতন এবং নিউ বারাকপুর সাংস্কৃতিক সংস্থা তাকে নগদ অর্থ ও পদক দিয়ে সম্মানিত করে।

    লিন্কটি এখানে

  17. মাসুদ করিম - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ)

    ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল শিল্পী ফিদা হুসেনের ৯৪তম জন্মদিন। দিল্লির সফদর হাশমি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট নানা আয়োজনে দিনটি পালন করেছে। পড়ুন এখানে এখানে

  18. মাসুদ করিম - ১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১:১৬ অপরাহ্ণ)

    প্রথম আলো ‘বেটা’ সংস্করণে চলে এসেছে। কিছুদিন আগ থেকে সমকালকেও আমরা বেটা সংস্করণে পাচ্ছি। এতে সরাসরি কপিপেস্টের সুযোগ বেড়েছে। বাংলা ব্লগের জন্য এটা খুব ভাল হল।

    গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ‘গণমাধ্যম,সম্পাদক ও প্রকাশকদের জন্য প্রশিক্ষণ চাই’ লেখাটি বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের সংকট ও রাজনীতিকে সবার সামনে উন্মুক্ত করেছে।

    লেখাটি একটি নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্য।

    বক্তব্যের স্থান ও কাল

    গত ৭ মে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স স্টাডিজের অধীনে যাত্রীর (জার্নালিজম ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ) সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বর্তমান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। এ অনুষ্ঠানে মতিউর রহমানের দেওয়া বক্তব্যের ভিত্তিতে লেখাটি তৈরি করা হয়েছে।

    প্রথমেই সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে। হ্যাঁ, এ যুগে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটা জরুরি অবশ্যই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের বাইরেও কারো কারো সাংবাদকিতায় আসার পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে। কারণ এটা খুবই ঠিক সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও অনেকে এ পেশায় অতীতের মতো অসাধারণ অবদান রাখতে পারে। আমাদের কর্মক্ষেত্রকে পেশাদারি মানে উন্নীত করতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিকল্প নেই, এটা যেমন সত্য, তেমনি সভ্য সমাজে প্রতিষ্ঠানের বাইরেও বিকল্প শিক্ষার নানা সুযোগ থাকে, তা ভুললেও আমাদের চলবে না।

    সাংবাদিক হতে হলে কোনো প্রশিক্ষণের দরকার আছে কি না-বাংলাদেশে সংবাদপত্রের জগতে বহুদিন এই বিতর্ক ছিল। আমরা জানি, পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে ’৭০-৭১ সাল পর্যন্ত তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালির আত্মসচেতনতা এবং অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সংবাদপত্র বড় ভূমিকা পালন করেছিল। এসব সংবাদপত্রের খুব অল্পসংখ্যক সাংবাদিক হয়তো দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এখনো আমাদের অনেক প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই; প্রয়োজন পেশার প্রতি ভালোবাসা, নিয়মিত চর্চা, পরিশ্রম এবং প্রতিদিন কাজ শেখা। সে জন্যই হয়তো এখনো কলকাতার বড় দুই কাগজ আনন্দবাজার পত্রিকা ও দ্য টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক বিভাগ থেকে পাস করা কোনো তরুণকে চাকরিতে নিয়োগ দিতে আগ্রহী নয়, বরং অন্য বিভাগের সেরা ছাত্রদের নিয়ে আসে তারা।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা বিভাগ চালু রয়েছে। কিন্তু এক দশক ধরে আমরা ঢাকা ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ভালো ফল করা বেশ কিছু শিক্ষার্থী পাচ্ছি, যাঁরা সংবাদপত্রে কাজ করতে আসছেন। এর আগের একটা সময় পর্যন্ত তাঁরা সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে ডিগ্রি নিয়ে তথ্য বা জনসংযোগ কর্মকর্তা অথবা অন্যান্য কাজে যোগ দিতেন। এক দশক ধরে সে ধারায় একটা পরিবর্তন এসেছে। সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ ডিগ্রি নিয়ে এখন সংবাদপত্রে কাজ করতে আসছেন। আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, প্রথম দিকে যাঁরা আসতেন, তাঁরা প্রধানত বার্তাকক্ষে সম্পাদনার কাজ করতে চাইতেন। অর্থাত্ রিপোর্টিং, সম্পাদকীয়, ফিচার বিভাগ বা অন্য কোনো কাজে তাঁরা কম উত্সাহী ছিলেন। এ ক্ষেত্রে এখন পরিবর্তন এসেছে। এটা একটা বড় ও শুভ পরিবর্তন।

    বিদেশি অর্থে প্রশিক্ষণ, হ্যাঁ, ঠিকই এসব তেমন কাজে কখনোই লাগে না।

    ঢাকা শহরে পিআইবি (প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ) বলে একটি প্রতিষ্ঠান আছে; সেটি নামে স্বায়ত্তশাসিত, কাজে সরকারি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে চেহারা, যে পরিবেশ থাকে, সেখানেও তা-ই। এ প্রতিষ্ঠানটি কতটুকু জীবিত বা কতটুকু মৃত, তা বোঝা খুব কঠিন। সেখানে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা কিছু করার চেষ্টা করেন। যে প্রশিক্ষণগুলো সেখানে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা পরিচালনার পেছনে হয় ইউনিসেফ, না হয় অন্য কোনো বিদেশি সাহায্য সংস্থার অর্থ থাকে। বিষয় তারাই নির্ধারণ করে দেয় এবং সেই ধারাতেই প্রশিক্ষণ হয়। সেগুলোতে খুব একটা কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। কিছু অবশ্য পিআইবির নিজস্ব অর্থায়নেও হয়।
    কয়েক বছর ধরে বিদেশি অর্থে পরিচালিত একাধিক এনজিও সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাতেও খুব ভালো কোনো ফল এখনো দেখতে পাইনি। আমাদের পত্রিকায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য এ ধরনের এনজিওর কাছ থেকে প্রস্তাব এলে খুব উত্সাহিত বোধ করতে পারি না। এসবের পেছনে দেখতে পাই সময় ও অর্থের অপচয়। আমরা জানি, বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান কখনো কখনো বড় এবং ব্যয়বহুল প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। সাংবাদিকদের ঢাকার বাইরে নিয়ে গিয়েও তিন-চার দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে। তাতেও তেমন ভালো কিছু হয়নি। এ ধরনের অনেক উদ্যোগ কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। এর একটা কারণ হতে পারে এই যে, আমাদের সাংবাদিকেরা মনে করেন, তাঁরা সব জানেন, সব বোঝেন। তাঁদের নতুন কিছু শেখার নেই। তার পরও আমরা বলি, বাংলাদেশের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকেরা গত পাঁচ-ছয় দশকে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। এটা খুবই বিস্ময়কর যে পঞ্চাশ বা ষাটের দশকে বাংলাদেশে সংবাদপত্র বা সাংবাদিকদের জন্য এত প্রশিক্ষণ ছিল না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পুরোপুরি কোনো বিভাগ ছিল না। কিন্তু সে সময়েও বাংলাদেশে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকেরা স্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। অতীতের ওই সব সংবাদপত্র ও এর সম্পাদক ও সাংবাদিকেরা এখনো আমাদের কাছে স্মরণীয়। তাঁদের সাফল্যের প্রধান কারণ তাঁরা ছিলেন নীতিনিষ্ঠ, সত্ ও পরিশ্রমী, তাঁরা সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা ভাবতেন। সে আমলে এখনকার মতো এত বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা তাঁদের সামনে ছিল না। কিন্তু আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা দিয়ে তাঁরা সব বাধা অতিক্রম করেছেন।

    ব্যক্তির স্বার্থই প্রধান, হ্যাঁ, প্রথম আলোর প্রকাশকও একজন ব্যবসায়ী। মতিউর রহমান নিশ্চয়ই বলবেন না, লতিফুর রহমান ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে।

    বিগত দুই দশকে বাংলাদেশে অসংখ্য কাগজ প্রকাশিত হয়েছে। দুই বছর আগেও ঢাকা শহরে নিবন্ধিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ১৮৬। এখন আছে ৭২টি। কিন্তু আমরা হয়তো চেষ্টা করলে বড় জোর এক ডজন কাগজের নাম বলতে পারব। সারা দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা শহর ও উপজেলা সদরেও দৈনিক কাগজ আছে, সাপ্তাহিক কাগজও আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব কাগজের মালিক কোনো রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ী; এমনকি কখনো কখনো কোনো সন্ত্রাসী। এসব সংবাদপত্র বিশেষ কোনো ব্যক্তির ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থে পরিচালিত হয়।
    সে জন্য বাংলাদেশে গত দুই দশকে সংবাদপত্রে অনেক ভালো ভালো কাজ হলেও আমরা বলতে পারব না যে সামগ্রিকভাবে আমরা সাংবাদিকতা বা সংবাদপত্র জগতে বিরাট কিছু একটা করতে পেরেছি। যদিও আমরা দেখতে পাই, নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে একটা বড় পরিবর্তন আসে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রতি এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই যে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তিনি মুদ্রণ ও প্রকাশনা আইন সংশোধন করে সে পরিবর্তনের সূচনা করে গেছেন। সরকার চাইলেও এখন আর কোনো পত্রিকার প্রকাশনা রুদ্ধ করে দিতে পারে না। সেই সুবাদে আমরা, সাংবাদিকেরা অপেক্ষাকৃত স্বাধীন পরিবেশে কাজ করতে পারছি।

    দলীয় পত্রিকার পাঠকপ্রিয়তা কমছে, ইত্তেফাক, ইনকিলাব, জনকণ্ঠ দলীয় পত্রিকা, এখানেই মতিউর রহমানের উদ্দেশ্যমূলক চরিত্র সবসময়ে বেরিয়ে আসে। ইত্তেফাক বহু আগে দলীয় পত্রিকা ছিল, ইনকিলাবও এখন আর দলীয় পত্রিকা নয়, আর জনকণ্ঠ কি কখনো দলীয় পত্রিকা ছিল?

    একই সময় এও আমাদের অভিজ্ঞতা যে নব্বইয়ের দশকের পর থেকে পাঠকেরা কোনো বিশেষ দল বা ব্যক্তির দ্বারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিচালিত কোনো পত্রিকা আর পড়তে চায় না। একসময়ের জনপ্রিয় কাগজ ইত্তেফাক, ইনকিলাব বা জনকণ্ঠ-এর সেই পাঠকসংখ্যা এখন আর নেই। দল বা ব্যক্তিস্বার্থে পরিচালিত কাগজগুলো ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে, তাদের পাঠক কমছে।
    পঞ্চাশ, ষাট বা সত্তরের দশকে পাঠকেরা প্রধানত রাজনৈতিক খবর জানতে কাগজ পড়ত। তখন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় কাগজ বের হতো। এ ধরনের কাগজ এখন পাঠক পড়তে চায় না। বিএনপি একটি বিরাট দল। বিগত বিএনপি সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদকালে ঢাকা শহরে তাদের পত্রিকা দিনকাল-এর বিক্রির সংখ্যা ছিল ৪৫০, এখন বেড়ে হয়েছে গড়ে ৭৫০ কপি। জামায়াতে ইসলামী একটা সংগঠিত রাজনৈতিক দল। তাদের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম ঢাকায় বিক্রি হয় গড়ে মাত্র এক হাজার ২৬৫ কপি। এ রকম আরও অনেক হিসাব দেওয়া যায়। আওয়ামী লীগের সমর্থক পত্রিকাগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বাংলার বাণীর সম্পাদক থাকা সত্ত্বেও কাগজটা টিকে থাকতে পারেনি। অথচ বাংলার বাণী একসময় একটি বড় কাগজ ছিল। এসব তথ্য প্রমাণ করে, পাঠক যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন, নিজের সমর্থিত দলের কাগজ বা মুখপত্র সে পড়তে চায় না।

    মালিকদের নিয়ে প্রশ্ন, সব মালিককে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে হবে। ভয় হয় সিনেমার প্রযোজকরা যেমন বাংলা সিনেমাকে কাদার তলে নিয়ে গেছেন, পত্রিকার মালিকরাও কি বাংলা সংবাদপত্রকে সেখানে নিয়ে যাবেন? সম্পাদকদের অবস্থা হবে এফডিসির পরিচালকদের মতো!মতিউর রহমানদের তখন সারাক্ষণ নামের আগে লিখতে হবে সুস্থ সংবাদপত্রের সম্পাদক!

    আমাদের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। বেক্সিমকো শুধু বাংলাদেশে অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিকভাবেও একটা প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ। তারা বারবার ঋণখেলাপি হয়, শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারিসহ নানা রকম কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তারা সংবাদপত্র জগতে প্রবেশ করে। তারা একটা ইংরেজি দৈনিক, একটা বাংলা দৈনিক, একটা বিনোদন ম্যাগাজিন, একটা সাহিত্য পত্রিকা এবং একটা বার্তা সংস্থা নিয়ে প্রবলভাবে সংবাদপত্র জগতে আসে। বাংলাদেশে এত বড় উদ্যোগ নিয়ে এ পর্যন্ত কেউ সংবাদপত্র জগতে আসেনি। তাদের সে উদ্যোগের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল পত্রিকাকে ব্যবহার করে ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করা। সে সময় এই গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ নামে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছিলেন। দলটির চেষ্টা ছিল নির্বাচনে ২৫-৩০টি আসন নিয়ে ক্ষমতার অংশীদার হওয়া। কিন্তু তাদের পত্রিকাগুলো সফল হয়নি। শুধু ইংরেজি দৈনিক ও বিনোদন ম্যাগাজিনটি এখনো বের হচ্ছে।
    বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রায় আট-দশটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কোনো আইনকানুন বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লাইসেন্সগুলো দেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার ভাই, ছেলের বন্ধু, তাঁর দলের মন্ত্রী, সাংসদ বা তাঁর অনুগত ব্যবসায়ীদের। এর মধ্যে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের অর্থায়নে জড়িত ছিল বিএনপি আমলের সবচেয়ে সুবিধাভোগী বসুন্ধরা, ওরিয়ন গ্রুপ প্রমুখ। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত যায়যায়দিন দৈনিক পত্রিকাটির প্রায় পুরো অর্থ সরবরাহ করেছিল বসুন্ধরা গ্রুপ। বিএনপি সরকারের সব রকম সহযোগিতা সত্ত্বেও শফিক রেহমানকে যায়যায়দিন বিক্রি করে দিতে হয়েছে। দলীয় মন্ত্রী ও সাংসদের আট-দশটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং কয়েকটি পত্রিকা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে বিএনপি কিছু করতে পারেনি।
    এখন শুনতে পাচ্ছি, বর্তমান সরকারও নিজেদের দলীয় বা ব্যবসায়ী সমর্থকদের আট-দশটি টেলিভিশন চ্যানেল করার অনুমতি দেবে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের আমরা বিএনপি সরকারের দলীয় ব্যক্তিদের টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার অভিজ্ঞতা স্মরণ করতে বলব। যারা নানা কৌশলে টিভি চ্যানেল পাবে, তাদের মধ্যে বিশেষভাবে বেক্সিমকো ও বসুন্ধরা গ্রুপের নাম বেশি শোনা যাচ্ছিল। ইতিমধ্যে দেশের অর্থনীতিতে বেক্সিমকো গ্রুপের কিছু অপতত্পরতার খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় বিএনপির সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তাকারী ও বর্তমানে আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং অন্যরা নাকি টিভি চ্যানেলের জন্য লোকজন নিয়োগ করে ফেলেছেন। ইতিমধ্যে ভোরের ডাক নামে একটি পত্রিকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তা পরিচালনা করছেন তাঁরা। আবেদ খানকে সম্পাদক করে কালের কণ্ঠ নামে নতুন আরেকটি কাগজ বের করার প্রস্তুতি নিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তারা আরও কাগজ বের করবে। সর্বশেষ খবর হলো, বসুন্ধরা গ্রুপ একটি টিভি চ্যানেল পেয়ে গেছে। কয়েকটি বিদেশি চ্যানেল অধিক অর্থ দিয়ে দেশে প্রচারের ব্যবসা তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, প্রয়োজনে তারা শত শত কোটি টাকা খরচ করবে। তাদের দুর্নাম ঢেকে রাখতে প্রচারমাধ্যমের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, তাদের ওপর বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ রয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়েও সরাসরি দেখাশোনা ও দেন-দরবার হচ্ছে। তা না হলে দুর্নীতির কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত ও খুনের মামলার আসামি হয়েও এত কিছু করার মতো সাহসের উত্স কোথায়, সে ব্যাপারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে। বিগত বাজেটে সংবাদপত্রের নিউজপ্রিন্টের ওপর সরকার ট্যাক্স বাড়িয়েছে (ভ্যাটসহ যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশ)। অন্যদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের কাগজের মিলের জন্য কাঁচামাল আমদানি ট্যাক্স শূন্য ছিল। এবার দেশীয় শিল্প রক্ষার অজুহাতে তাদের জন্য ভ্যাটও মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।
    এখানে তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ আছেন। তাঁকে আমাদের অনুরোধ, দেশের স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশাকে সমুন্নত রাখতে চাইলে আপনারা নিয়মনীতি-শৃঙ্খলা রক্ষা করে টিভি দেবেন, রেডিও দেবেন ও পত্রিকা পরিচালনা করতে দেবেন।

    সরকারি সুযোগ নিতে আগ্রহ, আহা শূধু টেন্ডারবাজির কী দোষ? আপনাদের এসব কর্মকাণ্ডও প্রথম পৃষ্ঠার হেডিং করুন না? প্রথম আলো ‘প্যাকেট জার্নালিজম’ নিয়ে সতর্ক, হ্যাঁ কে কত পাচ্ছেন মতিউর খবর রাখেন, এটাই সতর্কতা।

    এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করি, সরকারে দল পরিবর্তন হলে একদল সাংবাদিক কিছু পদ বা সুবিধা পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যান। মন্ত্রীরাও দ্রুত পদগুলো দিয়ে দেন। প্রেস কাউন্সিলর হয়ে সাংবাদিকেরা যান ওয়াশিংটন, লন্ডন বা দিল্লিতে। এভাবে দলীয় সমর্থকদের কিছু পুরস্কার দেওয়ার রীতি তৈরি হয়েছে দেশে। তাঁদের যোগ্যতা আছে কি নেই, সেটা বিবেচ্য নয়—তাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন—এটা প্রধান বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়। এর বাইরেও নানা সুযোগ-সুবিধা আছে। সাংবাদিক নেতারা এসব নিয়ে দেন-দরবার করেন। এখন নাকি সাংবাদিক নেতারা আবার সরকারি জমির প্লটের জন্য তালিকা করছেন।
    আমরা জানি, সাংবাদিক সমাজও বিভক্ত। বহুদিন ধরে প্রধান দুই রাজনৈতিক ধারায় তাঁরা ভাগ হয়ে আছেন। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকেরা এভাবেই বিভক্ত হয়ে থাকবেন, এমনটাই ধরে নেওয়া যায়। অনেক সাংবাদিক নেতার রুটি-রুজি এর সঙ্গে যুক্ত। সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্রে এর গভীর প্রভাব পড়েছে। এর ফল ভালো কিছু হয়নি।
    সাংবাদিক জগতের দুর্নীতিও একটি বহুল আলোচিত বিষয়। আমরাও জানি, এই দুর্নীতি এক অস্বাভাবিক জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। এই দুর্নীতি থেকে কতজন মুক্ত আর কতজন মুক্ত নন—তার হিসাব করা কঠিন। অনেক পত্রিকা আছে, যেখানে সাংবাদিকেরা নিয়মিত বেতন পান না। সাংবাদিক যদি বেতন না পান, তাহলে তিনি কীভাবে সাংবাদিকতা করবেন। আজকাল অনেক মফস্বল শহরে এবং ঢাকায়ও নাকি খবর ছেপে টাকা নেওয়া হয় বা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ‘প্যাকেট জার্নালিজম’ নামে একটা কথা সারা দুনিয়ায় প্রচলিত। বাংলাদেশে এই প্যাকেট জার্নালিজমের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এ অবস্থায় আমরা কীভাবে চলব, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। প্রথম আলোতে আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। কোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    সরকারের হাতিয়ার বিজ্ঞাপন!,তখন সরাসরি তারেক জিয়ার নামটা দিয়ে যদি সংবাদপত্রে খবর করতেন! মতিউর সময় মতো ঘুমাতে পছন্দ করেন, এটা তার অসাধারণ গুণ।

    আমাদের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬—২০০১) আমলে, সেটা ২০০১ সালের জুনের কথা। সরকার হঠাত্ একবার রেগে গিয়ে প্রথম আলোয় সরকারি বিজ্ঞাপনের বরাদ্দ শূন্য করে দিল। আমাদের একটা মোবাইল নিউজ সার্ভিস ছিল। তত্কালীন প্রতিমন্ত্রী সেটা বন্ধ করে দিলেন। আমাদের অডিট রিপোর্ট তিন মাস পর পর পাস করাতে হয়। একবার আমরা অডিট রিপোর্ট পেলাম দেড় বছর পর। কারণ মন্ত্রী দেবেন না। এরপর বিএনপির আমল এল। কিন্তু কয়েক মাস পরই প্রথম আলোর ওপর খেপে গিয়ে তারেক জিয়া আমাদের ডেকে গালমন্দ করলেন। তার পর পরই তাঁরা আমাদের বিজ্ঞাপন নির্ধারণ করে দিলেন দৈনিক ১০ ইঞ্চি। আমরা গিয়ে তথ্যমন্ত্রীকে বললাম, আপনারা খুব ভালো কাজ করেছেন। তবে আমাদের কোনো তদবির নেই। তবে যে সরকার এগুলো করে, তারা টিকে থাকতে পারে না। আমরা দেখলাম, তারা ক্ষমতায় থাকতে পারল না, হয়তো অনেক কিছুর জন্যই পারল না। তাদের বিদায় নিতে হলো। এর আগেও নব্বইয়ের দশকে বিএনপির সরকারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা রেগে ভোরের কাগজ-এর জন্য বিজ্ঞাপনের বরাদ্দ শূন্য করে দিয়েছিলেন।

    বেতন নেই, তার পরও চলছে, হ্যাঁ, সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের দেশে অনেকেরই বেতন লাগে না। বেতন ছাড়াই সবাই চলতে চায়, এজন্যই আমাদের সৎ কর্মচারী/কর্মকর্তাদের জীবন এতো দুর্বিষহ, এবং এজন্যই আমাদের এখানে পেশাদারিত্ব সৃস্টি হচ্ছে না।

    সারা দেশে শত শত সাংবাদিক ছড়িয়ে আছেন। প্রথম আলোর প্রতিনিধির সংখ্যাও ঢাকার বাইরে ২২০। তাঁদের সবাইকে আমরা কমবেশি বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিই। ঢাকা শহর বা জেলা শহরে একজন সাংবাদিককে কাজ করতে গেলে নিয়মিত বেতন পেতে হবে। তাঁকে সামাজিকভাবে ভালো থাকতে হবে। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে ঢাকা বা বাইরে কোনো কোনো সংবাদপত্রে কর্মীদের আট মাস, ১০ মাস বা ১৮ মাস ধরে বেতন দেওয়া হয় না। অনেক পত্রিকা থেকে সাংবাদিকেরা চলে গেলে বা চাকরিচ্যুত করা হলে তাঁদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয় না। এ রকম পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের কীভাবে সততা, নিষ্ঠা, নীতি-নৈতিকতা ও ভালো সাংবাদিকতা করতে বলবেন? তিনি বাড়ি ভাড়া পাবেন না, থাকার জায়গা পাবেন না, সন্তানদের স্কুলে দিতে পারবেন না; তিনি কী সাংবাদিকতা করবেন!
    দেশের বিভিন্ন স্থানে, অনেক শহরে একাধিক প্রেসক্লাব রয়েছে। এখনো রাজশাহীতে তিনটি প্রেসক্লাব। ঢাকা শহরে আছে রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাব-এডিটরস কাউন্সিল, অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিক সমিতি, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি, সংসদবিষয়ক সাংবাদিক সমিতি, পরিবেশ সাংবাদিক সমিতি ইত্যাদি। সাংবাদিকদের কেন এত সংগঠন? এত সবের কি দরকার আছে? অনেকে হয়তো বিরক্ত হবেন, তবে এসবের পেছনে খুব ভালো কিছু দেখতে পাই না।

    প্রশিক্ষণ জরুরি, সঙ্গে আরও কিছু, আরো কিছুটা কি? ঠিক বোঝা যায়নি।

    আমরা শুরুতে প্রশ্ন তুলেছি যে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের দরকার আছে কি না। তার পরও আমরা বলতে চাই, সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ খুব জরুরি। তবে সবচেয়ে জরুরি পেশার প্রতি ভালোবাসা, সততা আর নিষ্ঠা। একটা কথা আমরা আমাদের সাংবাদিকদের বলি, যতটা সম্ভব নম্র ও বিনয়ী থাকার চেষ্টা করতে হবে। সাংবাদিক সম্পর্কে নানা অভিযোগ রয়েছে সমাজে। তাঁরা বাড়াবাড়ি করেন, অভিযুক্তের কথা শুনতে চান না, সবকিছু ভালো করে জেনে-বুঝে নেন না, একজনের কাছে কিছু একটা শুনলে দ্বিতীয় কারও কাছ থেকে সেটা যাচাই করতে চান না ইত্যাদি। পত্রিকায়ও অনেক ভুল থাকে। খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে অনেক সময় সাধারণ নিয়মনীতি মানা হয় না। আমরা জানি, পত্রিকায় একটা ভুল খবরের কারণে একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান বহুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেদিকটি বিবেচনায় রেখে সাংবাদিক বন্ধুদের আমরা অনুরোধ করব, আপনারা লক্ষ রাখবেন যেন এমন কিছুর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে না পড়ি।
    আমরা কথা বলছিলাম প্রশিক্ষণ নিয়ে। একটা সাপ্তাহিক কাগজে আমি দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। তারপর দৈনিক পত্রিকায়। কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই কাজ করেছি। আমি ছিলাম পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র। আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সাংবাদিকতার ধারে-কাছেও ছিল না। কিন্তু আমি একটি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। ১৯৯৫ সালে সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি সংগঠন এশিয়ান মিডিয়া ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন সেন্টার (এএমআইসি) ঢাকায় একটা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল। বিষয় ছিল ‘হাউ টু ইনক্রিজ রেভেনিউ ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম রেঞ্জ নিউজপেপার ফ্রম অ্যাডভারটাইজমেন্ট অ্যান্ড সার্কুলেশন’। অর্থাত্ ছোট ও মাঝারি পত্রিকাগুলো কীভাবে পত্রিকা বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে আয় বাড়াতে পারে। বড় কাগজ নয়, এর লক্ষ্য ছিল ছোট ও মধ্যম পর্যায়ের পত্রিকার বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগের কর্মীরা। ওই তিন দিন বিভিন্ন পত্রিকার বাণিজ্য বিভাগের কর্মীরা আমার সঙ্গে প্রশিক্ষণে ছিলেন। একেবারে ছাত্রের মতো ওই তিন দিন যেটুকু শিখেছি, ওটুকুই এখনো আমার মূলধন এবং সেটুকু নিয়ে এখনো চলছি। বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করে। এ ধরনের কিছু প্রস্তাব আমাদের কাছেও এসেছিল; সুইডেন, কানাডা ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য ওরা অর্থ ব্যয় করতে চায়। আমরা বলছিলাম, সাংবাদিকদের কী চাই, কী করা উচিত, কী তাঁদের কাজ হবে, সেটা জানা-বোঝা খুব জরুরি। তবে আগে প্রশিক্ষণ দিতে হবে সম্পাদক ও প্রকাশকদের। তিনি কী চান, তিনি কী কাজ দেবেন, কীভাবে কাজ বুঝে নেবেন, তাঁর ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, কীভাবে তিনি কর্মীদের পরিচালনা করবেন—প্রশিক্ষণ দিতে হবে সেসব বিষয়ে। তা না হলে কিছুই হবে না।

    ওপর থেকেই শুরুটা হোক, হ্যাঁ, আপনার থেকেই হোক, যেভাবে কার্টুনিস্টকে নাজেহালে হাত মিলিয়েছিলেন, ইমামের কাছে তওবা করেছিলেন,’আলপিন’-এর মতো একটি চমৎকার নাম বদলে ‘রস+আলো’-এর মতো আলোমার্কা নাম দিয়ে, বদলে যাও বদলে দাও-নিজের উপলব্দিতে অর্জন করেছিলেন,বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পাদকদের জন্য এটি একটি ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

    আমরা বলতে চাই, সম্পাদক ও প্রকাশকদের জন্য যাত্রী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে তাতে আমরা আসতে প্রস্তুত রয়েছি। কারণ, আমাদের দেশের পত্রিকা ও সংবাদকর্মীরা যেভাবে পরিচালিত হন, তাতে সংবাদ ও সংবাদপত্রের সঠিক পূর্বপরিকল্পনা বা সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক কোনো লক্ষ্য থাকে না। ফলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা এখনো খুব একটা এগোচ্ছে না। আমরা আগেই বলেছি, কেবল স্বাধীন দলনিরপেক্ষ সংবাদপত্রই বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে পারবে। অন্য কোনো সংবাদপত্র হয়তো টিকে থাকবে, কিন্তু ব্যবসায়িকভাবে সফল হতে পারবে না। টিকে থাকার জন্য হয় তাদের সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিতে হবে, না হয় বড় ও ধনাঢ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে হবে। সরকার যদি প্রথম আলোয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়, তাহলে আমাদের নিজেদের শক্তিতে চলতে হবে। পাঠককে আস্থায় নিতে হবে, তারা যেন আমাদের কাগজ কেনে, পাঠকের কাছ থেকে যেন আমরা বিজ্ঞাপন পাই।
    আরেকটা সমস্যা হলো, কোনো সরকার ক্ষমতায় এলে হিসাব করতে থাকে, কে আমার পক্ষে আর কে আমার বিপক্ষে। কয়েক মাসের মধ্যেই তারা এমন একটা অবস্থান নিয়ে নেয়। সত্য কথা হলো, তারা সব সময় সঠিক বিষয়টা বুঝতে পারে না। কিন্তু এসব পক্ষ-বিপক্ষের তত্ত্ব বোঝানোর জন্য সরকারের চারপাশে লোক জড়ো হয়ে যায় এবং সেই ভিত্তিতেই সরকার চলতে থাকে। তারা বলতে থাকে, এরা আমাদের বিরুদ্ধে, এরা পক্ষে, এরা আমাদের চায় না, এরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, এরা বিরোধী দলের সঙ্গে বেশি ওঠাবসা করে ইত্যাদি। ব্যস, হয়ে গেল কাজ!
    তথ্যমন্ত্রীকে আমরা অনুরোধ করব, সবার প্রতি সমান ব্যবহার এবং ধৈর্য ও সহানুভূতি ছাড়া মুক্ত সাংবাদিকতা কখনো সম্ভব নয়। আর যাত্রীকে অনুরোধ করব, আপনারা সম্পাদক ও প্রকাশকদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করুন, নইলে কাজের কাজ কিছু হবে না।

    কাজের কাজ কিছু না হোক আমরা চাই না। কিন্তু সেক্ষেত্রে শুধু উপদেশ দিয়ে তো কিছু হবে না, আগে নিজেকে ঠিক করুন, নিজের বহুচারিতা ঠিক করুন,বদলাতে বদলাতে নিজের আত্মাকে ধ্বংস করবে না, তারপরই অন্যের কথা আসবে। আর যদি ভয় পেয়ে এই বক্তব্য হয়, যা ইতিমধ্যে অনেকে বলাবলি করছে, তাহলে বলব সাহস সঞ্চয় করুন, প্রতিনিয়ত কৌশলী হতে গিয়ে সাহসের ঘরে মতিউর রহমান ঠনঠন,তাই ভয় হয়, আপনার না দিন শেষ হয়ে এলো!লেখাটির লিন্ক এখানে

  19. মাসুদ করিম - ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৮:৫২ পূর্বাহ্ণ)

    অর্থনৈতিক মন্দায় আমেরিকায় নিউইয়র্কে ১০ শতাংশ ক্যালিফোর্নিয়ায় ১২ শতাংশ লোক বেকার হয়ে পড়েছে, কিন্তু এই মন্দাতেও বিশ্ব অস্ত্র বাজারের বিক্রির ৭০ শতাংশই আমেরিকা দখল করেছে। পড়ুন এখানেএখানেএ খবরে নিউইয়র্ক টাইমসের পাঠকদের মন্তব্য পড়ুন এখানে

  20. রায়হান রশিদ - ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১:৫৯ পূর্বাহ্ণ)

    কেউ এই বিষয়টা নিয়ে লিখলে আরেকটু গভীর অনুসন্ধানের সুযোগ তৈরী হোতো:
    AFRICOM (United States Africa Command)
    মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষায়:

    The Department of State and Africom enjoy a strong relationship. Our shared goal is to help African nations create a more stable environment on the continent and to enable political and economic growth that benefits the people of Africa. Our relationship with Africom is similar to the relationships the Department has with other regional commands.

    এ বিষয়ে আরও লেখা:
    এলিজাবেথ ডিকিনসন এর – Can Mosquito Nets Stop Terrorists?

    এদিকে আমাদের টিফা’র সর্বশেষ অবস্থা কি? কেউ লিখবেন?

  21. সাবরিনা ওয়াদুদ - ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৭:১৩ অপরাহ্ণ)

    ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ইরানীরা নতুন করে ঝুঁকির মুখে
    ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৯

    এই সপ্তাহে তথ্যপ্রামানিক দলিলে ইরানী নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ ও অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশিত হওয়ার পর ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা নতুন করে ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
    গত সোমবার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মেহেদী কারুবি কর্তৃক গঠিত কমিটির কার্যালয়গুলোতে হানা দিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেয়। এই কমিটি গত ১২ জুন অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবাদকারী ও নানান ধরনের নির্যাতনের শিকার বিনা বিচারে আটককৃত বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো মিলিয়ে দেখছিলো।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব আইরিন খান ইরানের সর্বোচ্চ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করে।
    তিনি আরো বলেন, ‘ইরানী কর্তৃপক্ষ ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের পরিবর্তে নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার দাবী করছে এমন ব্যক্তিদের পরিচয় বের করার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।’

    বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের টার্গেটের শিকার কমিটিকে অন্য আরেকজন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মীর হোসেন মুসাভীও সমর্থন জানিয়েছিলেন। এই কমিটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সরকারি ফলাফলের বিরোধীতাকারী ও বিনাবিচারে আটক ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে সোচ্চার।

    বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা মানবাধিকার কর্মী ইমাদ্দেদীন বেগের প্রতিষ্ঠিত এসোসিয়েশন ফর দি ডিফেন্স অফ প্রিজনার্স রাইটস এর কার্যালয়ও বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্থাটি বিনা বিচারে আটক ব্যক্তিদের উপর চালিত নির্যাতন ও অন্যান্য দুর্ব্যবহারের ঘটনার তথ্য সন্নিবেশিত করছিলো।

    প্রসিকিউটর জেনারেলের এক অফিস আদেশ পালনকালে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা দু’জন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কর্তৃক গঠিত ও সমর্থিত কমিটির কার্যালয়গুলো জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছে এবং তাদের কার্যালয়ের কমপিউটারসমূহ, ফাইলসমূহ ও অন্যান্য রেকর্ডসমূহ জব্দ করেছে। এই কমিটি কয়েকদিন আগে তাদের তদন্ত ফলাফলের একটি প্রতিবেদন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে গঠিত সংসদীয় কমিটির কাছে জমা দিয়েছে।

    আরো পড়ুন:

    ইরানে নির্বাচনোত্তর দমনমূলক নির্যাতন

  22. মাসুদ করিম - ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৪:৩০ অপরাহ্ণ)

    চোখেহাতে লেখার সেই সৌন্দর্য আজ আর নেই। কম্পিউটার আর মোবাইল ফোনেই এখন আমরা বেশি লিখি, এবং সামনে আরো বেশি লিখব। কিন্তু হাতের লেখার সর্বনাশ হয়েছে আরো অনেক আগেই, উমবের্তো একো ঠিকই বলেছেন, বলপয়েন্ট পেন থেকেই সর্বনাশের শুরু। গার্ডিয়ানে পড়ুন

  23. রায়হান রশিদ - ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১১:৪৪ অপরাহ্ণ)

    আমাদের ইতিহাসের ছায়াচ্ছন্ন এক অধ্যায় নিয়ে স্মৃতিচারণ। বন্ধুর জবানীতে এতো বছর পর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার মেজর রওশন ইয়াজদানীর ফাঁসী কাঠে ঝোলার পূর্বাপর ইতিবৃত্ত। এখানে

  24. মাসুদ করিম - ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (৪:৪৪ অপরাহ্ণ)

    বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স, পূর্ব জোনের কমান্ডার, এমএ মান্নান, ইদের দিন সকালে চট্টগ্রামে মারা গেছেন। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা গত আওয়ামী সরকারের শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। পড়ুন এখানেএখানে
    

  25. মাসুদ করিম - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:২৭ পূর্বাহ্ণ)

    ভারতীয় মাওবাদী শীর্ষ নেতা কোবাড ঘন্ডি গ্রেপ্তার হয়েছেন গত রবিবার ২০ সেপ্টেম্বর। খবরটি পড়ুন এখানে। তার প্রোফাইল এখানে।

  26. মাসুদ করিম - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ (১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ)

    দেশে বর্তমানে উপজেলার সংখ্যা ৪৮২টি। কৃষি খাসজমির ওপরে উল্লেখ করা হিসাবের মধ্যে ৪৬টি জেলা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে ৪৩৬টি উপজেলার যে চিত্র পাওয়া গেছে, সে অনুযায়ী একটা গড় হিসাব করলে সারা দেশে নিষ্কণ্টক কৃষি খাসজমির পরিমাণ দুই লাখ একরের বেশি হবে না। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক।

    সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো জানায়, দেশে খাসজমির মোট পরিমাণ কত, সে সম্পর্কে কোনো জরিপ নেই। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক আবুল বারকাতের নেতৃত্বে একদল গবেষক খাসজমির বিষয়ে দেশব্যাপী একটি গবেষণা চালান। তাঁদের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট খাসজমির (কৃষি, অকৃষি ও জলাসহ) পরিমাণ অন্তত ৩৩ লাখ একর।
    এ ছাড়া বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ভূমি মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হিসাব করে দেশবাসীকে জানিয়েছিল, দেশে মোট খাসজমির পরিমাণ প্রায় ৫০ লাখ একর। এর মধ্যে প্রায় ২০ লাখ একর হচ্ছে কৃষি খাসজমি। অর্থাত্ এই ২০ লাখ একর খাসজমি কৃষিকাজে ব্যবহারের যোগ্য। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই প্রায় ২০ লাখ একরের মধ্যে দুই লাখ একরের মতো, অর্থাত্ মাত্র ২০ শতাংশের মতো কৃষি খাসজমি সরকারি নথিপত্রে নিষ্কণ্টক।

    দেশের ৮০ শতাংশ কৃষি খাসজমিতে নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের!

  27. Pingback: মুক্তাঙ্গন | প্রমতি | মাসুদ করিম

  • Sign up
Password Strength Very Weak
Lost your password? Please enter your username or email address. You will receive a link to create a new password via email.
We do not share your personal details with anyone.